রাজধানীর ফকিরাপুলে অবস্থিত ‘দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ’-এর পীর দেওয়ানবাগী মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটায় তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ওয়ালিদ হোসেন দেওয়ানবাগীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ভোর সাড়ে পাঁচটার পর তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আরামবাগের দেওয়ানবাগ শরীফে ভক্তদের ঢল নামে।
এর আগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার মৃত্যু গুজব ছড়ায়। সে সময় তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা নিলেও মৃত্যুর খবরটি সঠিক ছিল না।
দেওয়ানবাগ শরিফের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, দেওয়ানবাগী পীরের নাম মাহবুব-এ খোদা। তবে তিনি ‘দেওয়ানবাগী’ নামে পরিচিত। ১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ আবদুর রশিদ সরদার। মা সৈয়দা জোবেদা খাতুন। ছয় ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। নিজ এলাকার তালশহর কারিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশুনা করেন।
ফরিদপুরে চন্দ্রপাড়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আবুল ফজল সুলতান আহমেদ চন্দ্রপুরীর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন দেওয়ানবাগী পীর। এরপর তাঁর মেয়ে হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন দেওয়ানবাগী। এর সুবাদে শ্বশুরের কাছ থেকে খিলাফত লাভ করেন। তার কিছু দিন পর নিজেই নারায়ণগঞ্জে দেওয়ানবাগ নামক স্থানে একটি আস্তানা গঠন করেন এবং নিজেকে সুফি সম্রাট পরিচয় দেন। সর্বশেষ মতিঝিলের ১৪৭ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ এই ঠিকানায় একটি দরবার স্থাপন করেন দেওয়ানবাগী।